চলছে সিজনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এখন বার্সেলোনা বা রিয়াল মাদ্রিদের যে কেউ পয়েন্ট লুজ করলে একজন আরেকজনের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে ফেলবে মূহুর্তেই।
এমন সময় হ্যান্সি ফ্লিক স্টার্টিং ইলিভেনের বাইরে রাখলেন মেইন স্কোয়াডের অনেককেই।
টানা ১০০+ ম্যাচ খেলা কুন্দে অবশেষে পায় রেস্ট। কুবার্সির জায়গায় ছিলেন আরাউহো, ডি ইয়ং এর পরিবর্তে গাভি ও বহুদিন পর লেফট উইং এ জায়গা পান আনসু ফাতি।
ম্যাচের একেবারে প্রথম থেকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে বার্সা। সমানতালে নিতে থাকে শট, তবে জালের দেখা মিলছিলো না কোনোভাবেই। বার্সার এট্যাকারদের শটের ক্ষেত্রে বিশেষ দূর্বলতা দেখা গেছে পুরো ম্যাচ জুড়েই। বিশেষ করে লামিন ইয়ামালের শটের ক্ষেত্রে আরো ডিসিশন মেকিং নিয়ে কাজ করা উচিৎ।
তবে এখনই লামিনকে এ দিয়ে জাজ করা উচিৎ হবেনা। বয়স মাত্র ১৭, এই বয়সে ও যা দেখিয়েছে বা দেখাচ্ছে তা আনপ্যারালাল। ফাতি সুযোগ পেয়ে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। আরেকটু ভালো করার জায়গা ছিলো। বিশেষ করব মনে হলো, ফাতি তার ড্রিব্লিং স্কিল হারিয়ে ফেলেছে।
মিডফিল্ড থেকে পেদ্রীর বানানো মায়োর্কার গোলকিপারের বল সামনে গিয়ে যেনো আলুভর্তায় রুপ নিচ্ছিলো একের পর এক। অবশেষে সেকেন্ড হাফে অলমো ভাঙেন ডেডলক।
ম্যাচে মায়োর্কার গোলকিপার লিও রোমানের কথা না বললেই নয়। লেভ ইয়াসিন, বুফন কিংবা নয়্যারের আত্মা সম্ভবত একসাথে ভর করেছিলো তার উপর। ম্যাচে তার সেইভ সংখ্যা ১২ টা।
৪০ শট নিয়েও বার্সার ১ গোল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ম্যাচে। তবে দিনশেষে ১ গোলের জয়ের ঐ তিন পয়েন্টই ম্যাটার্স। ইঞ্জুরি না নিয়ে ম্যাচ শেষ করে টাইট শিডিউলে স্কোয়াডের কিছু খেলোয়াড়ের বিশ্রাম পাওয়াটাই ম্যাটার্স।