Let’s talk about a special player today

ডিজিগে ডুয়ের নামটা মনে হয়না রেগুলার ফুটবল ফলো করা কারো কাছে অপরিচিত।

ডুয়ের ফ্রান্সের বাইরে পরিচিত নেইমারের সাথে আইডেন্টিক্যাল প্লে স্টাইলের জন্য, আর ফ্রান্সের মানুষের কাছে সে ডেম্বেলে – এম্বাপের পর বিগেস্ট ট্যালেন্ট, ইন ফ্যাক্ট এই সিজনে পিএসজিতে ডুয়ের পারফরম্যান্সের কারণে এমবাপ্পের সাথে নিয়মিত তুলনাও হচ্ছে তাঁর।

 

তাঁ এম্বাপের মতো নিজেকে বিশ্বকাপে প্রমাণ করা কিংবা নেইমারের মত টিনেজার থাকা অবস্থায় ব্যালনের টপ টেনে এসে মেইনস্ট্রিমে রাতারাতি সুপারস্টার বোন যাওয়ার সুযোগ হয়তো ডুয়ের হবেনা কিন্তু নিজের নামের মতোই সে প্যারিস আর ফ্রান্সের জন্য ” A gift that was desired”।

 

ফ্রেঞ্চ ফুটবলের তেমন ব্র্যান্ডিং হয়না গ্লোবালি। তাই ডুয়ের কিউরিয়াস কেইস সামনে আসতে অনেক দেরি হয়েছে। রেনের অ্যাকাডেমি থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই সিনিয়র টিমে ব্রেকআউট করেছিলো ও। শুধু তাই না, বয়স ১৮ হওয়ার আগে সিনিয়র লেভেলে ৭২ টা ম্যাচও খেলে ফেলেছিল।

 

ইংল্যাণ্ড কিংবা স্পেনের ক্লাবগুলোর নজরে না থাকলেও পিএসজি – বায়ার্নের মধ্যে একটা ভার্বাল ক্ল্যাশ লেগে গিয়েছিল ডুয়েকে দলে ভেড়ানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত পিএসজি ৫০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি দিয়ে ডুয়ে ডিল সিকিউর করেছিলো।

 

১৯ বছরের একটা প্লেয়ারের জন্য (স্পেশালি যখন সে ইংলিশ কিংবা ব্রাজিলিয়ান না) ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি একটা বড় সাম। লুইস ক্যাম্পোস আর এনরিকে জানতো যে তাঁরা এই টাকা ঢেলে রিগ্রেট করবে না।

 

ডুয়ে টেকনিক্যালি কারেন্ট ফ্রেঞ্চ প্লেয়ারদের মধ্যে সবচেয়ে সাউন্ড, সাথে হার্ড ওয়ার্কিং ও। মিডফিল্ডে অ্যাডভান্সড রোলে খেলা প্রিফার করে। সেন্টার, লেফট , রাইট – মিডফিল্ডের যেখানে খেলাক, আউটপুট সেম আসবে। আবার সেন্টার থেকে উইংয়ের যেকোনো পাশ থেকে উঠে গিয়ে ফরোয়ার্ডদের সাথে লিংক আপ করতে পারে। লেফট উইং এ খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে কারণ লেফট থেকে ও ইজিলি কাট ইন করে ডি বক্সে ঢুকে যেতে পারে কিংবা টাচলাইন থেকে ক্রস স্প্যাম করতে পারে। ঠিক এই জায়গায় ও নেইমারের জেরক্স কপি।

 

কিন্তু নেইমারের চেয়ে বেশি ভার্সেটাইল। ও ডিপ লায়িং প্লেমেকার হিসেবেও খেলতে পারে। অফ দ্যা বলে মুভমেন্ট টপ নচ। পিচের ডিপার পজিশন থেকে বল উইন করার অ্যাটেম্পট নেয়, আবার অ্যাটাকিং ট্রানজিশনের সময় ড্রিবলিং করে উপরে উঠে যায় বল নিয়ে। কুইক পেইসড কাউন্টার অ্যাটাক খেলা টিমের জন্য ডুয়ে একটা প্রিমিয়াম অ্যাসেট।

 

ওর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হলো, ফর্ম ড্রপ হয়না।হি ইজ সুপার কন্সিস্টেন্ট। রিসেন্টলি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট স্টেজে গোল পেয়েছে, সবগুলায় স্টার্টও করেনি। এই সিজনে এখন পর্যন্ত ২৫ গোল/এসিস্ট। আজও ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছে লিগ ওয়ানে।

 

পিএসজির এম্বাপের প্রস্থান নিয়ে আফসোস থাকার কোনো কারণ নাই আর।

Leave a Comment