মিডিয়ার স্পটলাইটটা তাদের জন্য বরাদ্দ নয়। ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মধ্যমণিতে সচরাচর তাদের দেখা যায় না।
পুরো দল যখন আনন্দে মাতে তাদের কাজ তখন পিছন থেকে কেবল মুচকি হেসে যাওয়া। সেই আনন্দ উৎসবও করেন একাকী, নিজে নিজেই। পাছে আবার যদি মনোসংযোগ এ ব্যাঘাত ঘটে।
মোস্ট থ্যাংকলেস জবে তাদের অবদান এমনিতেই আড়ালে থাকে। যা কিছু অবশিষ্ট থাকে সেটাও নিয়ে যায় স্টারপাওয়ার বা গ্ল্যামারাসে পরিপূর্ণ কোনো চরিত্র। তবে এসব মাথায় না নিয়ে তারা নিজেদের দুর্গ রক্ষার্থে একান্তে লড়ে যান। কোনো অভিযোগ ছাড়া আপনমনে নিজের কাজটি করে যান।
ভিলা পার্কে সেদিনও ঠিক এমনটাই হয়েছিলো। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের গতির ঝড় বারবারই ফাইনাল থার্ডে আছড়ে পড়েছিলো। সেই ঝড়ের তীব্রতা ঠিক কতটুকু ছিলো তা স্কোরলাইন দেখেই আঁচ করা যায়। এমেরির পরিকল্পিত সেই আক্রমণের মোকাবেলা করে পিএসজি যে আজ সেমিতে তার অন্যতম অবদান ছবিতে থাকা মানুষটার। জিয়ানলুইজি ডোনারুমার।
ইতালির দুর্ভেদ্য প্রাচীরের লাস্ট লাইন অফ ডিফেন্স। দারুণ শো স্টপিং এবিলিটির সাথে আছে তুখোড় এওয়ারনেসও। সাথে প্রায়ই পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করেন পুরো ব্যাকলাইনকেও। দলের সাফল্যে মেতে ওঠেন বুনো উল্লাসে। জন্মে ইতালিয়ান, এখন প্যারিসিয়ান। পিএসজির নতুন ইতিহাস রচিত করার গল্পের আড়ালে থাকা সেনানী। নামটা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম পরিচিত, শুধু শেষের শব্দটা দিয়েই যাকে আলাদা করা যায়।
জিজি ডোনারুমা। ক্লাব ও আন্তজার্তিকে ফিরে আসা জিজি বুফনের রিজেন।
আ শো স্টপার।