“রাফায়েল ভারানে: সময়ের আগেই সম্পূর্ণ এক কিংবদন্তি”

বর্তমান যুগের ফুটবলারদের কাছে ৩২ বছর বয়স খুবই সামান্য। ৩২ এ থাকা লেওয়া, মেসি, রোনালদোদের আমরা বিশ্বসেরা হিসেবে দেখেছি।

ডিফেন্ডারদের ক্ষেত্রে তো বয়স বাড়াটা আরো আশীর্বাদের মতো। বয়স যতো বাড়ে, বুদ্ধি ততো বাড়ে, গেমসেন্স ডেভেলপ হয়। তারা আরো বেটার প্লেয়ার হয়ে উঠে।

কিন্তু একজন আছেন, যার ক্যারিয়ার এসব ফ্যাক্ট ফলো করে চলেনি, চলছে নিজ গতিপথে।

রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাব যদি ১৮ বছর বয়সী কোনো সেন্টারব্যাক কে বাজির ঘোড়া বানায়, তার মধ্যে সেরা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই। রাফায়েল ভারানে তার ক্যারিয়ারের প্রতিটা অংশে প্রমাণ করেছেন, তাকে ভরসা করে রিয়াল মাদ্রিদ সঠিক কাজ করেছিলো।

বালক হয়ে মাদ্রিদে আসলেন, এরপর নিজেকে মেলে ধরলেন৷ তাকে জায়গা দিতে ক্লাব লেজেন্ড পেপে কে ক্লাব ছাড়তে হলো। ভরসার প্রতিদান তিনি দিয়েছেন রিয়ালকে ৪ টা চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতিয়ে।

ক্লাবের হয়ে যেমন, জাতীয় দলেও একই ইম্প্যাক্ট। ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের ডিফেন্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বিশ্বকাপ জিতেছেন।

একজন ফুটবলার ক্যারিয়ারে আসলে কি স্বপ্ন দেখে? চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতার, বিশ্বকাপ জেতার। ২৫ বছর বয়সেই অন্য ফুটবলারদের স্বপ্ন ভারান বাস্তবতায় প্রমাণ করেছে। ফুটবলকে সম্পন্ন করেছে।

এতো কম বয়সে সবকিছু জেতার পর ফুটবল থেকে ভারানের আর কিছু পাওয়ার ছিল না। অথবা, তার সামনে যা অপেক্ষা করছিলো, এজন্যই সে আগেভাগে সবকিছু জিতে নিছিলো।

রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর থেকেই একের পর এক ইঞ্জুরি। ম্যানচেস্টারে বেশিরভাগ সময়ই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন, এরপরও জিতেছেন ২ টা ট্রফি।

৩২ বছর বয়সে যেখানে অন্যরা নিজেদের ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে থাকে, সেখানে নিজের ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ করে ভারান বুটজোড়া তুলে রেখেছেন।

মালদিনি কখনো বিশ্বকাপ জিতেনি, কানাভেরো জিতেনি চ্যাম্পিয়নস লীগ। প্রতিটা ফুটবলারেরই কোনো না কোনো অপ্রাপ্তির জায়গা আছে, যেটা রাফায়েল ভারানের ক্ষেত্রে প্রায় নাই বললেই চলে।

আজ তার জন্মদিন। ফুটবল রাফাকে মিস করে।

1 thought on ““রাফায়েল ভারানে: সময়ের আগেই সম্পূর্ণ এক কিংবদন্তি””

Leave a Comment