লিওনেল মেসিকে নিয়ে সমস্যা?
মেসি-সমর্থকদের অনেকের ভ্রু কুঁচকে উঠতে পারে। যে খেলোয়াড় ম্যাচের পর ম্যাচ, বছরের পর বছর দলের জন্য ‘সমাধান’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তিনিই কিনা ‘সমস্যা’। হ্যাঁ, সমস্যাই। এমন সমস্যা, মেসিকে নিয়ে সব দলের সব কোচই যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এখনো হচ্ছেন। এমনকি ভবিষ্যতেও হবেন।
আর সমস্যাটা তুলে ধরেছেন, এমন একজন—যিনি মেসির ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়ই তাঁর পাশে ছিলেন। মেসির দীর্ঘদিনের এই সঙ্গীর নাম হাভিয়ের মাচেরানো।
২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেসি–মাচেরানো একসঙ্গে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত একসঙ্গে ছিলেন বার্সেলোনায়ও। এখন দুজনই ইন্টার মায়ামিতে, মেসি খেলোয়াড়, মাচেরানো কোচ।
মায়ামিতে মেসি-মাচেরানো জুটির সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না। লিগ (এমএলএস) ও মহাদেশীয় (কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগ) প্রতিযোগিতার সর্বশেষ তিন ম্যাচেই হেরেছে ইন্টার মায়ামি। আর দলের সর্বশেষ চার ম্যাচেই গোল করতে পারেননি মেসি। এ ক্ষেত্রে মেসিকে নিয়ে ‘কমন সমস্যার’ কথা তুলে ধরেছেন মাচেরানো।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মাচেরানোকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, ইন্টার মায়ামিতে মেসির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল কি না? প্রশ্ন শুনে হেসে দেন মাচেরানো।
৪০ বছর বয়সী এই কোচ তুলে ধরেন মেসিকে নিয়ে ‘সমস্যা’র কথা, ‘মেসির ওপর নির্ভরতা সব সময়ই ছিল। সেটা বছরের পর বছর ধরে পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনায় ছিল, লুইস এনরিকের বার্সেলোনায় ছিল, আর্নেস্তো ভালভের্দের বার্সেলোনায়ও ছিল। আর আর্জেন্টিনা জাতীয় দল তো ১৫-২০ বছর ধরেই মেসির ওপর নির্ভরশীল।’
এই নির্ভরশীলতা মেসির দোষে নয়, বরং মেসি বড় মাপের খেলোয়াড় বলেই তৈরি হয়েছে—এমনটাই বক্তব্য মাচেরানোর, ‘যখন একজন কোচের হাতে মেসির মতো খেলোয়াড় থাকে, তার ওপর নির্ভরতা তৈরি হয়েই যায়। মেসির ওপর নির্ভর না করা অসম্ভব।’
তবে দল মেসির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠলেও সাফল্য পেতে অন্যদের সহযোগিতার বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করেন ২০০৮ সালে তাঁর সঙ্গে অলিম্পিক সোনা জেতা মাচেরানো, ‘এখানে একটা ব্যাপার পরিষ্কার, কখনো কখনো দলের অন্যরা মেসিকে বেশি সহায়তা করতে পারে, কখনো কম পারে।’
ইন্টার মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোরে, প্রতিপক্ষ নিউইয়র্ক রেড বুলস। এই ম্যাচও সহজ না-ই হওয়ার কথা। কারণ, ইস্টার্ন কনফারেন্স পয়েন্ট তালিকায় পাঁচে থাকা ইন্টার মায়ামির প্রতিপক্ষ গত বছর এমএলএস কাপের ফাইনালিস্ট। অবশ্য এবার দলটি ৮ নম্বরে আছে।